গোল্ড লোন সংস্থায় ডাকাতির ছক বানচাল , পুলিশের জালে আগ্নেয়াস্ত্র সহ নয় দুস্কৃতী

18th December 2020 5:33 pm হুগলী
গোল্ড লোন সংস্থায় ডাকাতির ছক বানচাল , পুলিশের জালে আগ্নেয়াস্ত্র সহ নয় দুস্কৃতী


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : গোল্ড লোন সংস্থায় ডাকাতির পরিকল্পনা বানচাল,আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার নয় জন। চন্দননগর পুলিশের গোয়ান্দাদের কাছে খবর ছিল উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার একটি দল ডানকুনি উত্তরপাড়া ব্যান্ডেল এলাকায় বেআইনি মাদকের কারবার করছে । অভিযোগ ইদানিং তারা আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচাও করছিলো । কলকাতা আলিপুরের দুষ্কৃতি মহঃ নাসিমের সঙ্গে পরিচয় ছিলো বালিয়ার দলটির । মহঃ নাসিমকে দিয়ে বালিয়ার দলের সাহায্যে ব্যান্ডলের আই এফ এল গোল্ড লোন সংস্থায় ডাকাতি করার পরিকল্পনা করে হুগলী জেল বন্দী সঞ্জয় রাজবংশি ওরফে (হিড্ডা)।হিড্ডার সঙ্গী পরভিন বেগম ওরফে পম্মি  ব্যান্ডেলেরই দুষ্কৃতি ঈশ্বর হরিজনকে কাজে লাগায়।পুলিশ সূত্রে খবর ছট পুজোর সময় ঈশ্বরের বাড়িতে কয়েকদিন কাটিয়ে যায় নাসিম ও তার সঙ্গীরা । ডাকাতির পরিকল্পনা গোপন সূত্রে খবর পায় চন্দননগর পুলিশের গোয়ান্দারা । এরপরেই নাকা চেকিং শুরু করে পুলিশ ।ডানকুনি ব্যান্ডেল চন্দননগর চুঁচুড়া থেকে গ্রেফতার হয় এক মহিলা সহ নয় জন।ধৃতদের কাছ থেকে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র ৪৭ রাউন্ড কার্তুজ ও দশটি মোবাইল এবং তরল মাদক ও গাঁজা উদ্ধার হয়। সিপি চন্দননগর হুমায়ূন কবির শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান। এই দলটি আগেও অনেক ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত। ব্যান্ডেল গোল্ড লোন সংস্থায় ডাকাতির আগেই তাদের ধরা গেছে । ধৃতদের আজ চুঁচু্ড়া আদালতে পেশ করে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।